গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

বৃহস্পতিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৫

'গল্পগুচ্ছ' বর্ষ ৪ সংখ্যা ৫।।২৩জানুয়ারি২০১৪।।৮মাঘ১৪২১

এই সংখ্যায় ১১টি গল্প । লেখক সূচি - বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীর কুমার রায়, দোলনচাঁপা ধর, কেয়া মুখোপাধ্যায়, সাঈদা মিমি, বিলাল হোসেন, জয়া চৌধুরী, নীতা মন্ডল, শান্তিময় কর, ও মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী ।
                    
             পড়তে হবে সূচিপত্রে ক্লিক করে  

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়


বিকাশদা একটি পুকুর

জমিজায়গা টাকাপয়সা আর ঝকঝকে একখানা বাড়িএর বাইরেও যে জীবন আছে বিকাশদা জানত নাএকটি মাত্র পুকুর ছিল বিকাশদারঠিক পুকুর নয়আমাদের আঞ্চলিক গোদা বাংলায় তার নাম ছিল শালুকগড়্যাক্লান্ত বর্ষণ শেষে ভাদ্র মাসের দুষ্টু রোদের আভায় ঝলমল করত সেই জলাশয়তার তীরে বসে গম্ভীর মুখে বিকাশদা মাছ ধরতনানা সাইজের মাছআমরা মাছের চেয়েও বেশি করে দেখতাম বিকাশ বিশ্বাসের মত মানুষটিকেতার কথা বলার ধরণ , মাছের চার ফেলার ভঙ্গি , লাটসাহেবি চালচলন , মাছ না পাওয়ার হতাশা কিম্বা আকস্মিক বড় মাছ পেয়ে যাওয়ার উল্লাস লিপিবদ্ধ করতাম আমাদের কমবয়সী চোখেগাছের পাতার ফাঁকে বৃত্তাকার আলো এসে পড়ত পুকুরেহাততালি দিয়ে উত্তেজনায় বলে উঠতাম দেখো বিকাশদা , কী অপূর্ব আলোঅথবা পুকুরের জলে যখন স্থির প্রতিবিম্ব ভাসত আমাদেরসেই মৌন নীরব আয়নার দিকে তাকিয়ে বিস্ময়চিহ্ন ছড়িয়ে দিতাম দেখো দেখো বিকাশদা তোমাকেও দেখতে পাবে জলে
বিকাশদা চুপ করে থাকতকখনও সখনও উত্তর দিত ওসব দেখার কি সময় আছেরেদুটো মাছ ধরলে দশটা টাকা আসবে
* পয়সা ছাড়া তুমি কি আর কিছু বোঝো না ?
* বুঝি , জমি জায়গা ঘরবাড়ি
* তার বাইরে কোনও স্বপ্ন ?
একদিন অনেক পয়সা করবোহাজার হাজার লোক সেলাম করবে
বিকাশদার বাবার নাম ছিল কালিপদ বিশ্বাসসবাই ডাকত কালু বলেকালিবাবু বলে কাউকে কখনো ভুলেও ডাকতে শুনিনিকুঁজো হয়ে হাঁটত সবসময়ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে থাকতঅঙ্কে শূন্য পাওয়া মানুষের মত চেহারাআপাদমস্তক ব্যর্থ অসফলসেই কালু জেঠুর ছানি পড়া চোখে ছিল সবুজের সমারোহসারা দুনিয়াকে শ্যামল করার অঙ্গীকারে শক্ত হয়ে উঠত হাতকেউ এর প্রশংসা করলেই কাঁচুমাচু হয়ে বলত আর এমন কি ? আমি তো কিছুই পারিনাআর মনের মধ্যে চলত অন্য বিক্রিয়া পৃথিবীর প্রানবায়ু কমে যাচ্ছে মানুষ বাঁচবে কি করে ? তার ছিল গাছ লাগানোর বাতিকএক চিলতে ফাঁকা জায়গা পেলেই নিত্য নতুন চারা এনে পুঁতে দিত সেখানেস্নেহে আর মমতায় ভরিয়ে তুলত গাছেদের

মুখোমুখি ঘর ছিল আমাদেরমাঝখানে স্যাঁতস্যাঁতে সরু রাস্তাকাদায় ঢেকে যেত বর্ষাকালেসেই রাস্তায় যে কতবার পিছলে পড়েছি তার হিসেব মেলা দুস্করবিকাশদার মাকে অনুমাসি বলে ডাকতাম আমরামায়ের সাথে অনুমাসির ছিল গলায় গলায় ভাবযেদিন আমাদের বাড়িতে পায়েস রান্না হত , মা বলত শুভ, যা তো বিকাশকে একবাটি পায়েস দিয়ে আয়ছদ্মরাগে ফেটে পড়ত অনুমাসি রুমি টার কোনোদিন জ্ঞান গম্যি হবেনা, এত পায়েস কেউ পাঠায়তোরা খেয়েছিস তো বাছা ? ঠিক সেভাবেই অনুমাসি আমাকে দিয়ে যেত ছোলার ডাল বা পটলপোস্তগরমের দুপুরে যখন আমরা লুডো খেলতাম আর মা অনুমাসির উকুন বেছে দিততখন অনেক প্রানের কথা হত মা আর অনুমাসির মধ্যেযার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতাম না আমরাএক নির্জন নিরালায় গড়ে উঠেছিল তাদের বন্ধুত্বের জগতমাঝে মাঝে রাগ অভিমান কম হত নাএকদিন মাকে দেখতে না পেলে ছটফট করত অনুমাসি
* তোর শরীর ভাল আছে তো রুমি ? সকালে দেখিনি যে
-আমি তো ঠিকই আছিতোমার মুখটা শুকনো লাগছে কেন অনুদি ?
তারপর মা অনুমাসির পেট থেকে কিল মেরে বার করে আনত কত গোপন কথাসারাদিন না খেয়ে বা শুধু জল খেয়ে কাটানোর নির্মম ইতিহাসশাশুড়ির সাথে চরম ঝগড়ার খবর
-তুমি আমাকেও লজ্জা পাও অনুদিএটা রাখো বলে মায়ের জমানো টাকা অনুমাসির হাতে তুলে দিত মা , কতবারকতবার

বিকাশদার বোন টুসকিসে আমাদের সাথে পড়তপোলিওতে আক্রান্ত হওয়ার জন্য একটা পা টেনে টেনে অনেক কষ্টে হাঁটতপ্রায়ই যেতে পারতোনা ক্লাসেপ্রতিদিনের পড়া বুঝিয়ে দিয়ে আসতে হত আমাকেইসন্ধ্যেবেলা ছাড়া আমার কোনো অবকাশ ছিল নাওই সময় টুসকির সাথে অনেক কথা হত আমারওর যন্ত্রনা দুঃখ বিপন্নতা ছায়া ফেলত মনের গভীরেঅভাব আর দারিদ্র ঘেরা বাতাবরণের মধ্যে দাঁড়িয়ে টুসকি যখন বলত- আমার খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে , শুভ
* অমন কথা মুখেও আনবি না একদম
-কি লাভ বেঁচে ? এই ঘৃণা আর অবজ্ঞার ভেতরআমি তো বাড়তি এক বোঝা
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে দেখে নিসসবকিছু... বলে পকেট থেকে ঠাকুরের প্রসাদ আর ফুল ওর হাতে দিয়ে বলতাম আমাদের মত গরীবদের তো এসবই ভরসা
আমাদের চোখের জলে বর্ষা আসতবিকাশদা মেতে উঠত পুকুরটা ভর্তি করার জন্যকিন্তু কোনোমতেই পেরে উঠত নাপুকুরটা ছিল অদ্ভুতজমি থেকে অনেক উঁচুতে ছিল তার অবস্থানবহমান জল সেখানে পৌঁছতে পারত না
-দেখছিস পুকুরটাকেঅনন্ত তৃষ্ণা নিয়ে বসে আছেকোনোদিন দিন ওর পেট ভরবেনা
আমি মাথা নাড়তাম আর দেখতাম অসীম মমতা আর হার্দিক শ্রমে বিকাশদা পুকুর ভর্তি করছে জলেজলাশয়ের চারপাশে অনেক গাছনানা রঙের পাখি এসে বসত সেখানেআলোহীন এক ভীরু অন্ধকারের ছায়া পড়ত পুকুরের জলেএক সুন্দর মায়াবী জগতযা ছিল বিকাশদার নিজের পৃথিবীঅল্প অল্প করে আমিও ঢুকে পড়ছিলাম সেই পরিমণ্ডলে আর দেখছিলাম চারদিককথায় কথায় বিকাশদা একদিন বলেছিল-এই পুকুরটাই আমার সবআমার স্বপ্ন, ভালবাসার দুনিয়াগাছগুলো আমার ভবিষ্যৎগাছে আর মাছেই তো টাকা রে শুভঙ্করসেরকম ভাবে চাষ করতে পারলে একদিন কত উপরে উঠে যাব
দুই

মাধ্যমিকে তিনবার ফেল করার পর পড়াশোনা ছেড়ে দিল বিকাশদাঅনেক অনুরোধ করলাম আমরাকিন্তু কে কার কথা শোনেবিকাশদার সেই এককথা- তোরা আমার হাঁটুর বয়সী তোদের সাথে পরীক্ষা , নেভারতার চেয়ে গলায় কলসি বেঁধে মরাই ভাল
এরপর থেকে ছোট পুকুরটাই হয়ে উঠল তার ধ্যানজ্ঞানতার একান্ত আশ্রয়জলাশয় ঘিরে চারপাশে যে ভূমিখণ্ড যেখানে কালুজেঠুর হাতে তৈরি হওয়া গাছের ছায়াসেই ছায়ার মধ্যে তার খেলার মাঠসুন্দর এবং অনিবার্য এক খেলায় মেতে উঠল বিকাশদাগাছ লাগানোর খেলামাছ তৈরির ক্রীড়াভূমি তৈরি হল পুকুরের জলেসেখানে হাজার মাছের অবাধ সাঁতারএইসব দেখতে দেখতে আলো বাতাস এক জলজ ভালোবাসায় নিবিড় হয়ে উঠল তার দুনিয়া
মাঝে মাঝে আমরা তার কাছে যেতামআমি মৈনাক আর শম্ভুমৈনাক কথা প্রসঙ্গে বলেছিল তোমাদের গাছগুলো দারুনএই বিউটির জন্যই তো বারবার এখানে আসি
* বিউটি দিয়ে পেট ভরেনা মৈনাক
* মানে ?
-ওসব বট অশথের কোন দাম নেই , ওগুলো কেটে দামি গাছ লাগাবো
-তোমার বাবার স্মৃতি
-নিকুচি করেছে স্মৃতির
- কোনও সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু নেই এই শিকড় এই মাটির ?
-ওসব ছেঁদো আবেগ প্যানপ্যানানি আমার নেইআমার মধ্যে খিদে আছে , পেটে জ্বলন্ত আগুনআগ্নেয়গিরি

এরপর আর কোন কথা হত নাপুকুরটার দিকে চেয়ে চেয়ে ফুরিয়ে আসত বিকেলফড়িং উড়ে যেত জলের উপরমাছেরা খেলত জলের নীচে
-কি সুন্দর সুন্দর মাছ পুষেছ তুমি দেখেও মন ভরে
-মাছ আমি পুষি নি রে , ওরাই আমাকে পুষছে পালন করছে এক নির্মম সত্যকে

এরমধ্যেই টুসকি একদিন আমাদের ছেড়ে চলে গেলঅনুমাসি খুব কেঁদেছিলমা আমি লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতে গিয়ে বিকাশদার হাতে ধরা পড়েছিলাম দূর বোকা , কাঁদতে নেইমানুষ তো একদিন মরবেইআমি চমকে উঠি
* বেঁচে থেকেই বা কি করত বল ?
* তুমি একথা বলছ বিকাশদা ?
* হ্যাঁ , আমিই বলছি
আমি স্থির তাকিয়েছিলাম শূন্য দিগন্তের দিকেযেন আমার সামনে কোন মানুষ নেইআর ভাবছিলাম শোকবর্জিত এক পাথরের অবয়বযেখানে খনন চালিয়েও উঠে আসবেনা টান মায়া স্মৃতি কিম্বা অশ্রুপাত
-টুসকিটা মরে আমাকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে, শুভ
আমার চোখের পাতায় তখনও দাগবিকাশদা বলে চলেছে
- বিশ্বাস কর ওর বিয়ে দিতে পারতাম নাসে অনেক টাকার ব্যাপারআমি আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারিনি অনেক ঘৃণা নিয়ে উঠে এসেছিলামআত্মসর্বস্ব এই লোকটা কোনোদিন চিনবেনা দুনিয়ার রঙদেখতে পাবেনা গাছের ছায়ার নীচে ফড়িঙের ধ্যানমগ্ন ঘুমশুনতে পাবেনা অপূর্ব আঁধার রাতে ডাহুকের ক্লান্ত আর করুণ আওয়াজসে কিভাবে অনুভব করবে প্রতিটি সম্পর্কের ভিতরে নিঃশব্দে শিশির ঝরে পড়ে

এরপর রাগে আর কোনোদিন বিকাশদার মুখোমুখি হইনিকলেজে ভরতি হওয়ার পর দ্রুত ফুরিয়ে যেতে লাগল সময়পুজোতে বাড়ি এলে অনুমাসির সাথে দেখা করতে যেতামওদের বাড়িটা খাঁ খাঁ করতখাপছাড়া কিছু গল্প হত সেরকম জমাট বাঁধত না আসরধূসর ছায়াপথে ঘুরতে ঘুরতে ফুরিয়ে যেত সবকথামায়ের কাছে শুনতাম নানা গল্পবিকাশদার দ্রুত উত্থানের কাহিনিআক্ষেপের সুরও শুনতাম অণুদির খুব কষ্ট
* সে কি? চমকে উঠতাম আমি
* হ্যাঁ পেট পুরে খেতে পায় না বেচারা, শাড়ীগুলো ছেঁড়া
* তবে যে বললে বিকাশদার অনেক টাকা
-সে তো বিকাশেরব্যঙ্কে সুদে আসলে বাড়তে থাকেগোপন দীর্ঘশ্বাস মায়ের আঁচল থেকে ঝড়ে পড়তআমি স্পষ্ট দেখতে পেতাম
তিন

আমাদের কৈশোরের দিনগুলো ম্লান হয়ে আসছিলরুমালে গিঁট দিয়ে বেঁধে রাখা টিনএজ বয়স টুপ করে পড়ে গেছে কোথায়বদলে যাওয়া চারপাশকাদামাখা পথও রূপসী হয়ে উঠছিলতার জায়গা দখল করে নিচ্ছিল বিটুমিনাসের রাস্তাভুবন ময়রার মিষ্টির দোকান ভেঙে তৈরি হচ্ছিল পঞ্চবটী গেস্টহাউসমফঃস্বলের গন্ধ মুছে গ্রামটার পেটে ঢুকে যাচ্ছিল নাগরিক হাওয়াচেনা মানুষগুলোও পাল্টে যাচ্ছিল দ্রুতযেন এটাই স্বাভাবিক রীতিকেউ কাউকে নিয়ে এখন আর মাথা ঘামায় নাবিপদেও পাশে দাঁড়ায় নাএক ব্যক্তিগত খোলসের মধ্যে সুখযাপন পর্ব
তবু অভ্যেস বশত বিকাশদার বাড়ি যাওয়া আসা থামেনি আমাদেরআমি মৈনাক আর শম্ভু তিনজনে মিলে অনেক গল্প হয়ভবিষ্যতের গল্পআলো অন্ধকারের গল্পদিশা খুঁজে পাইনাচারপাশের সবকিছুই আসতে আসতে ছোট হয়ে যাচ্ছেকোন ঋজু
বৃক্ষ নেই শুধু বনসাইনিজের পুকুরটাকে আরও অনেক জলে ভর্তি করার এক আত্মঘাতি খেলা চলছেপ্লাবনের অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই
চার

এরপরই মৈনাকের রোগটা শুরু হলডাক্তার বলল- ব্লাড ক্যানসারদুরারোগ্যঅনেক টাকার ব্যাপারশম্ভু ছুটে এসেছিল আমার কাছে কিছু একটা করতেই হবে শুভ
আমি শম্ভুর কাঁধে হাত রেখেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে দেখে নিস
জানি শুধু কথার কথাএতে চিড়ে ভেজেনাতবু এই কথাগুলি বলা ছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না

কল্পনা আর বাস্তবের টানাপোড়েন যখন চলে তখন মানুষ এভাবেই হয়ত কোনো নাতিশীতোষ্ণ আশ্রয় খুঁজে নেয়নির্বোধ ভাঙচুর চলে মনের মধ্যে
-বিকাশদাকে ধরলে হয় না ?জিজ্ঞাসা নয় প্রস্তাবের আকারে কথাটা বলেছিল শম্ভুআমি তাচ্ছিল্যের হাসি হেসেছিলামতখনও বুঝতে পারিনি বিকাশদা কখন এসে দাঁড়িয়েছে সবার অলক্ষেঅনেকদিন পর বাইরে বৃষ্টির মেঘ জমছিলঝমঝম শব্দ হচ্ছিল বুকের মধ্যেমৈনাকের কাঁধে হাত রেখেছিল বিকাশদা আমি তো আছিদরকার হলে আমার পুকুর ঘরবাড়ি জমানো সব সঞ্চয় শেষ করে দেব

আমি চমকে উঠেছিলামবাইরে বজ্রপাতের তীব্র শব্দনিজের অজান্তেই বেরিয়ে এসেছিল কথাগুলো
মানুষ তো একদিন মরবেই...।
* মারব টেনে এক থাপ্পড়

আমি বিকাশদার দিকে চেয়ে থাকিওর চোখে জলবাইরে অঝোর বৃষ্টিআমি নিঃশব্দে ধুয়ে ফেলি চোখ গালের আবর্জনাবিকাশদা মৈনাকের হাত নিজের মুঠিতে ধরে রাখেচোখ দুটো চিকচিক করে এক অপূর্ব আলোয়এই প্রথম বিকাশদার সেই পুকুরটি জলে ভরে ওঠে কানায় কানায়