মেঘেরসফর
মেঘেরা লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে নামছিল। আকাশে মস্তি করে ক্লান্ত ।
ভেবেচিন্তে বিশ্রাম নেবে হেলান দিতে গিয়ে ধ্যুশ্!
একদম শূন্য! লাফঝাঁপ ছাড়া গতি কি? অতএব!
পাহাড়ের ঐ খাঁজ। আরামকেদারা। যুৎসই। লাফ ঠিকঠাক কিন্তু চুপ থাকা যায়না ! কুচি কুচি
জুঁইফুলি তুষারদানা মস্করা করে যে! এপাশ ওপাশ! ঝপাস্ খাদে হায়! এবার ঘোরচক্কর,
উঁকিঝুঁকি। সড়াৎ করে এক নিমিষে পগারপার। একী একী আকাশ নাকি?
এমন সাদা! কেমন সাদা? হিম কঠিন! তবে কি —
গেলাম! দমে গেলাম জমে গেলাম তুষারশৃঙ্গে কি হলাম! তুষারধবলকিরীটি
গগনচুম্বী তীক্ষ্ণশলাকা যেন প্রভাততপনে সুশোভিত! হ্যাই সুয্যিমামা, দিচ্ছিস কেন হামা! উঠে দাঁড়া না প্লিজ, আমাকে
আমি বানা! দিচ্ছে হানা ধোঁয়ায় ধোঁয়াক্কার চাট্টিপাশ। ' তোমার
অসীমে প্রাণমন লয়ে যতদূরে আমি যাই. ...' আমি নাই! আমি নাই!
আমি আকাশের মেঘবালক আকাশে উড়িতে চাই। হে সূর্যদেব, তোমার প্রখর তাপে আমাকে গলিয়ে গলিয়ে এই হিমশীতল রুদ্ধ কারাগার থেকে জল্দি মুক্তি দাও! জল্দি করো। প্লিজ! প্লি —ই -জ! এখনো তলায় ডুবিনি, প্লিজ! একী বেদনা রে আমারে কাঁদায়! অন্তহীন এ বেদনা আমারে কাঁদায়! দুপুর হলো যেন! আমি মুক্তি পাচ্ছি কি? আমার দুচোখে বহিছে ক্ষীণতম জলধারা, 'সহেনা যাতনা '! আমি উড়ছি ছুটছি মত্ত পবনে ঘুরছি। কিন্তু বড্ড দুবলা পাতলা হয়ে গেলাম যে! তাই সই! নাহয় বালক থেকে বালিকা হবো! জয় গোস্বামীর মেঘবালিকা! কি বলো হে গিরিরাজ? এবার তবে জাম্প দিই? সোনার মেয়ে দীপা কর্মকারের জম্পেশ জাম্প। মেয়েটা ছোট্ট রাজ্যের পাত্তা পায়নি। না রাজ্যে না রাষ্ট্রে। ওলিমপিকের জাম্পখানা কী জব্বর! এবার মাথায় তুলে, কোলে নিয়ে ... জব্বর নাচ! আমি বাবা অতো চাইনে! যাবো বঙ্গে পুজো নাচবো রঙ্গে। টাক ডুম টাক ডুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল! এদিক দেখি ওদিক দেখি মুখ কালো। আমায় দেখে? তাইতো! আয় রোদ্দুর হাসবি। আমার কোলে এইটুকুনি দোলদুলুনি! ইলশেগুঁড়ি! ধ্যাত্তেরিকা! আকাশে উড়ি হাল্কাপোল্কা। ছিলাম বালক এবার বালিকা! ধন্য কবির মেঘবালিকা!