মহুয়া আমার জীবন ছুঁয়ে ছিল।
জাতপাত, রহন-সহনে সে যে ছিল অন্য ধারার নারী !
বস্তারের মনঝোলী আদিবাসী গ্রামে কিছুদিন
ছিলাম। রিপোর্টার হয়ে নকশাল গতিবিধির রিপোর্ট দিতে হত।
অরণ্যঘণ জায়গা। লোকালয় থেকে দূরান্তে সাল-মহুলের
অরণ্যঘেরা এক আদিবাসী গ্রামের ঝোপড়ি ঘরে থাকতাম। কাজের ফাঁকে ফাঁকে মহুয়াকে বারবার
দেখেছি। ও নিশ্চয় আমাকেও দেখেছে। কুচকুচে কালোর মাঝে তেলাল শরীর, আবেদনে ভরে থাকা চকমকি চেহারা তার।
রোজ মহুয়ার তাড়ি খেতে যেতাম। আদিবাসীদের নিজস্ব
চোলাই, গলায়
পড়লেই ছলাং দিয়ে উঠত শরীর ! বউ, বেটি, মরদ সবাই এসে ভিড় করত ভাটিতে। মেয়েরা আমায়
দেখে হাসত। সেদিন মহুয়া আমার সামনে এসে বলে ছিল,
আজ তুর ঘর যাব,
বাবু ! ও নেশায় মত্ত ছিল,
উচ্ছল হাসছিল।
--চল, বলে নেশামত্ত আমি ওকে আমার আস্তানায়
নিয়ে আসলাম।
মহুয়া এসেই আমার ঘরের খাটিয়ায় ধপ করে শুয়ে
পড়ল।
--এই
কি করছিস তুই!
হিহি, হাহা করে খানিক হেসে আমার দিকে
তাকিয়ে ও বলল, তু
খুব সৌন্দর বাবু ! তুকে আমি ভালবাসি রে বাবু ! হেঁচকা টান মেরে ও আমায় ওর শরীরের ওপর
টেনে নিলো।
আমি তখন নেশায় বিভোর, বললাম, এই, কি হচ্ছে মহু ?
মহুয়া আমায় আদর-চুম্বনে ভরিয়ে দিতে দিতে
বলে উঠেছিল, তু
চলে যাবি জানি বাবু--আমি তুর মত সৌন্দর একটা বেটা মুর পেটে ধরতে চাই!