গল্পগুচ্ছতে প্রকাশিত লেখার বিষয়ভাবনা বা বক্তব্যের দায় লেখকের । সম্পাদক কোনভাবেই দায়ী থাকবেন না ।

সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৬

৫ম বর্ষ সংখ্যা ১২।। ২৬ এপ্রিল ২০১৬

এই সংখ্যার লেখকসূচি - সাঈদা মিমি, তাপসকিরণ রায়, সুবীর কুমার রায়, রুখসানা কাজল, মুস্তাইন সুজাত, দেবরাজ দাশগুপ্ত, অসিত চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যুৎলেখা ঘোষ, নীহার চক্রবর্তী, দেবাশিস কোনার, শান্তিময় কর ও মনোজিৎ কুমার দাশ ।

            সূচিপত্রে লেখকের নামে ক্লিক করুন

সম্পাদকীয়


দুএকটি কথা বলা প্রয়োজন । সংশয় নেই, গল্পগুচ্ছর এক বিপুল সংখ্যক পাঠকমন্ডলী আছে, আর সেই জন্যই নবীন গল্পকাররাও গল্পগুচ্ছ পত্রিকার তাদের লেখা প্রকাশে আগ্রহী । তারা  লেখা পাঠিয়ে পত্রিকার নিয়মিত প্রকাশ সম্ভব করছেন, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই । লেখার গুণমান বিচারের দায় পাঠকমন্ডলীর । আমি মাননীয় লেখকদের কাছে দু একটি কথা বলি, একটু মনযোগ দিয়ে পড়ুন । অনেকেই লেখা পাঠাচ্ছেন বেশ অযত্নের সঙ্গে, যে কোন ‘ফন্ট’এ । তাদের জানাই - ‘অভ্র’ কি-বোর্ডে টাইপ করা টেকস্ট ওয়ার্ড ফাইল ভিন্ন লেখা প্রকাশ করা সম্ভব নয় । তারা লেখা পাঠাবেন না ।
অনেকে সঠিক কি-বোর্ডে হয়তো পাঠাচ্ছেন কিন্তু বেশ অযত্নের সঙ্গে । স্তবক বিন্যাস থাকছে না । এলোমেলোভাবে টাইপ করেই পাঠিয়ে দিচ্ছেন । সম্ভবত নিজেও একবার দেখছেন না, কি পাঠালেন । থাকছে নানান কায়দা, কারুকার্য । লেখকদের উদ্দেশ্যে অতয়েব কয়েকটি কথা বলে নিতে হচ্ছে ।
(১) অভ্র বাংলায় টাইপ করবেন। ওয়ার্ড ফাইল পাঠাবেন ।
(২) লেখা – যেটি ছাপা হবে সেখানে নাম, ঠিকানা, ছবি ইত্যাদি দেবেন না । দেবেন প্রয়োজনে, পৃথক চিঠিতে ।
(৩) নতুন যারা লেখা পাঠাবেন তারা অবশ্যই একটা ছবি পাঠাবেন ।
(৪) লেখার শিরোনামে বা লেখকের নামে কোন যতি চিহ্ন দেবেন না, দেওয়া চলে না ।
(৫) গল্পের কথপকথনের অংশ লিখতে ইনভারটেড কমা দেয়া যায় অথবা নাটকের সংলাপের মত পংক্তি বিন্যাস করে লেখা যায় । সে ক্ষেত্রে ইনভারটেড কমা হয় না, একটি হাইফেন দিতে হয় । কিন্তু দুটো একসঙ্গে হয় না । অনেকে ইনভারটেড কমাও দিচ্ছেন হাইফেনও দিচ্ছেন এটা ভুল । এই সংখ্যায় তাপসকিরণ রায়ের গল্পটি দেখুন । যতি চিহ্নের সঠিক ব্যবহার হয়েছে ।
(৬) বাক্যে যেখানে কমা দেবার প্রয়োজন দেবেন, কিন্তু স্পেশ দিয়ে তারপর নয় । কমা দিয়ে স্পেশ দেবেন । কিন্তু যেখানে দাঁড়ি দিচ্ছেন অর্থাৎ বাক্য শেষ হয়ড়ি, সেখানে স্পেশ দিয়ে দাড়ি দেবেন । এটাই সঠিক ।

লেখক নিশ্চয়ই আশা করেন তাঁর লেখা পাঠক পড়ুন সাবলিলভাবে এবং গল্পগুচ্ছ – যেখানে লেখাটা প্রকাশিত হচ্ছে সেটিও পাঠকের কাছে দৃষ্টিনন্দন হোক । সে জন্য এই ক’টি কথা বলা ।

সাঈদা মিমি

জাতিস্মর

         মিমব্রেস পার্বত্যভূমি পাহাড়ের ঢালে জাগুয়ারের চামড়া বিছিয়ে বসে আছেন গোত্রপ্রধান কোচাইজা, একজন চিরিকাহুয়া অ্যাপাচি অ্যাপাচিদের সেরা সমরনেতা রেড স্লিভসের জামাতা সে গোল হয়ে বসা নারী পুরুষ শিশুদের মাঝখানে বিশাল ক্যাম্পফায়ার রোস্ট করা হচ্ছে মোষের মাংশ কিশোরেরা তুলনামূলক গম্ভীর, কেননা, কিশোর নয়, নিজেদের সদ্য যুবক ভাবছে তারা শিশুদের কোলাহলে উপত্যকা সরব পিপিলিকা ওড়ার চন্দ্রকলা (রেড ইণ্ডিয়ানদের মাসের হিসেবে জানুয়ারি) এখন অ্যাপাচি গিরিপথে কুয়াশার দেবতা অথবা দেবতারা জেঁকে বসেছেন গোত্রের কৈশোরপ্রাপ্তদের শিকারে যাওয়ার অভিষেক হবে আজ শুরু হয়েছে পূর্বপুরুষদের নিয়ে বীরগাঁথা কাব্যগীত লাল মদের সুবাস, ঝলসানো মাংসের ঘ্রাণ, দূরের সান পেদ্রো নদীর বাতাস আমাদের পূর্বপুরুষের মাটি, আমাদের দেশ, এই ভূমির জন্য জীবন দেবো তবুও, একে পরিত্যাগ করবো না পাথরের পেয়ালা তুলে প্রতিজ্ঞা করছে দূর্ধর্ষ অ্যাপাচিরা

         ঈশানের ঘুম ভেঙে গেলো তিনটে চল্লিশে এরকমটাই হচ্ছে প্রতিরাতে! বাদামী ডিস্টেম্পার করা চারদেয়াল, নরম বিছানার অস্তিস্ব, অতি আধুনিক এয়ারকণ্ডিশনড ঘর, এসব তার কাছে অচেনা লাগছে কিছুক্ষণ আগেও সে ছিলো মিমব্রেস পার্বত্যভূমির পাদদেশে, আরাভাইপা খাঁড়ির দূর্ধর্ষ ধনু পা এস্কিমিনজিন এখন আবিষ্কার করছে, সে ঈশান রায়হান, ধনাঢ্য বাবার একমাত্র সন্তান এরকম কেনো হচ্ছে? তার সাথেই কেনো? বাবার অফিসের প্রধান শাখায় অ্যাকাউন্টস দেখে সে, সব কাজে অসংখ্য ভুলভাল হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন দিনের আলোয় সে বর্তমান শতকের অতি সুদর্শন যুবক রাত গভীর হলে এস্কিমিনজিন প্রবেশ করে তার দেহে, গ্রাস করে নেয় কোষ; মগজ আসে যোদ্ধার তেজ, মেসকাল চিবুতে চিবুতে সে তুলে নেয় পালক লাগানো তীর ধনুক অ্যাপাচিদের ঘোড়াগুলি তাদের মতই ক্ষিপ্র সব অদৃশ্য হয়েছে, ঘুমটা আর আসবে না নোটবুকটা টেনে নিলো সে, লিখছে, সাদারা এসেছিলো শরণার্থী হয়ে তখন আমরা বুঝতে পারিনি, কিছুদিনের মধ্যে আমরা হাজারে হাজারে মরবো এবং আমাদের শরণার্থী হতে বাধ্য করা হবে

        “এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত না হলে এখানে বসবাস করতো বহু সংখ্যক মানুষ সাদাদের মাথায় ঘিলু নেই, এমনকি অন্তঃকরণও আমাদের রক্ত পান করাটাই যেনো ওদের একমাত্র নেশা!” শিঁউরে উঠলেন এস্কিমিনজিন। আমরা সুখে ছিলাম, আজ আমাদের মাতৃভূমি হুমকির মুখে পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য রক্ত আর লাশের স্তুপে হারিয়ে যাচ্ছে সাদা চামড়ার মানুষেরা এখানে অতিথি হয়ে এসেছিলো, তারপর তারা ব্যবসা করতে চাইলো এখানে আমরা জানতাম না আমাদের তীরের ফলার বিষের চাইতেও বিষাক্ত তাদের মন! তারা এখানে আবাস গড়তে শুরু করলো, দূর্গ বানালো, দাগী খুনি সৈনিক আমদানী করলো! যখন ওরা আরিজোনায় এসেছিলো, কোচাইজ কেনো স্বাগত জানিয়েছিলো ওদের? এস্কিমিনজিনের মনে পড়লো, ওরা একটি মিথ্যে চুরির ঘটনা সাজিয়েছিলো নিজেরা চুরি করে দোষ দিয়েছিলো চিরিহুয়াদের হত্যা করেছিলো একজন ইণ্ডিয়ান রাখাল বালক কে অ্যাপাচিরাও প্রতিশোধ নিয়েছিলো, হত্যা করেছিলো তিনজন শ্বেতাঙ্গ কে; বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে স্পেনীয় সাদাদের কাছে এই নিষ্ঠুরতা ওরা শিখেছিলো পরিস্থিতী নিয়ন্ত্রণে আনতে সাদা পতাকা নিয়ে ফোর্টে গিয়েছিলেন রেড স্লিভস কূট শেতাঙ্গরাও এসেছিলো সাদা পতাকা নিয়ে দূর্গে ঢোকার পরপরই বন্দী করা হয় রেড স্লিভস কে, সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আর পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে উঠতেই হত্যা করা হয় তাকে ধড় থেকে আলাদা করে দেয়া হয় মুণ্ডু একটি স্বর্ণালী জীবনের করুণতম সমাপ্তি ঘটে

        দক্ষ ফিন্যান্স ডিরেক্টর ঈশান যারা বলতো, এই খ্যাতি যা সে অর্জন করেছিলো মাত্র কয়েক বছরে, সব ধূলিস্মাৎ হয়ে গেছে তার রুচি খাদ্যে অনীহা প্রকট আকার ধারণ করেছে রাতস্বপ্ন দিনের বুকে পা রেখেছে কখন, কোথায়, কিভাবে সে আরাভাইপার খাঁড়িতে পৌঁছে যায় বোঝা দুস্কর! মিমব্রেস পর্বতমালায় দাঁড়িয় তাক করে ধনুক,ছিলার মত টানটান হয় বাদামী শরীর, কাঁধ পর্যন্ত নেমে আসা কালো চুল মরুভূমির বাতাসে উড়তে থাকে হাসপাতালের এই নির্জন কেবিনে যখন তাকে কড়া ঘুমের অষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখে যায় নার্স, একটু পরেই কর্তব্যরত কোনো ডাক্তার এসে দেখতে পায়, সব যন্ত্রপাতি থেকে নিজেকে মুক্ত করে শিরাজাগা লাল চক্ষু মেলে সে তাকিয়ে আছে তার দীর্ঘ নাক প্রসারিত, মুখে ক্ষিপ্ত গোঙানি! ঈশান কে নিয়ে নানা দেশ ঘুরছেন বাবা নামের একজন মানুষ, একমাত্র সন্তানের এক ধনী পিতা। বিত্ত এই মূহুর্তে যখন সমাধান কিনতে অক্ষম কোনো ঘুমিয়ে থাকা ডিপ্রেসন তার মধ্যে জেগে উঠেছে, দুটো সত্ত্বায় বসবাস করছে ঈশান সম্ভাব্য সবরকম উন্নত চিকিৎসা চলছে ঈশানের বাবা জানেনও না, তার স্ত্রী পীর ফকিরের কাছে নিয়মিত ধর্ণা দিচ্ছেন অবিরাম কু-নজর আর বদ জ্বিনের ভর করা কিংবা এমনও হতে পারে কেউ তাকে কালো যাদু করেছে! নয়তো এমন পরিবর্তন কেনো? যে ছেলে কথা বলতো শান্তস্বরে, মা বলতে অন্ধ ছিলো, সে মায়ের দিকে জ্বলে ওঠা চোখ নিয়ে দাঁত খিঁচিয়ে বলে, ‘যাবো না হোয়াইট মাউন্টেনে, আমাদের দেশ থেকে চলে যা রক্তখোর সাদার দল সব শুনে অনন্তবাগীর পীরসাহেব বলেছেন, কোন সাহেব জ্বিন, এর সাথে পারা মুশকিল কিন্তু আমিও ছাড়বো না ম্লেচ্ছ দেউ? মা জায়নামাজে পড়ে থাকেন

         অ্যাপাচিরা ভাগ হয়ে পড়েছে খণ্ড খণ্ড উপদলে যতবারই তারা শান্তির প্রস্তাব নিয়ে গেছে, ততবারই সাদা গভর্ণর তাদের কে নিজ এলাকা ত্যাগ করে, বসবাস অযোগ্য সরকারী আবাসনে যাওয়ার কথা বলছে সাদা গভর্ণর! এই সেদিন অন্য ভূখণ্ড থেকে আসা নরপিশাচেরা এখন তাদের নেতা? কি নির্মম নির্লজ্জতা! এই পর্বতভূমি, হ্রদ, নদী, শস্যপ্রান্তর, নিজ ভিটা ছেড়ে তারা যাবে না; কখনই না এস্কিমিনজিনের রক্তে অ্যাপাচি যোদ্ধার কোষ বিস্ফোরিত হয়, ‘ভিজুক, এই মাটি আমার রক্ত শুষে নেবে, এখানেই হবে কবর ঘ্রাণ শুঁকে এস্কিমিনজিন বলতে পারে, লু হাওয়া কবে বইবে, কেবল একটা অক্ষমতা তাকে ঘুন হয়ে কাটে, সাদাদের মত কামান নেই আমাদের, রাইফেল, গাদা বন্দুক তবুও কেউ বলতে পারবে, অ্যাপাচিরা লড়তে জানে না!মরুঝড়ের মত রক্তের গন্ধও পায় এস্কিমিনজিন যেদিন টাকসন শহরের রেড ইণ্ডিয়ান পল্লীতে ধ্বংসের উল্লাস চালিয়েছিলো সাদারা, অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে আসতে আসতে প্রথমে তার চোখে পড়েছে ধোঁয়া, তারপর ভৌতিক নির্জনতা কয়েকশনারী, পুরুষ, শিশুর বিকৃত লাশ পড়ে আছে, বালি আর শুষে নিতে পারছে না রক্ত সাহসী এস্কিমিনজিন এই প্রথম কেঁপে উঠলো ভয়ে পালালো সে কাপুরুষের মত কোথায় শান্তিচুক্তি? গোত্রনেতা কোচাইজ? সাদাদের যে একদিন বলেছিলো, তোমাদের ঈশ্বর তো আমাদেরও, আমরা আমাদের ভিটা ছাড়বো না, তোমাদের ক্ষতির কারণও হবো না, আমাদেরকে আমাদের ভিটায় থাকতে দাও সেটা হলো না, ঈশ্বর বিভক্ত হয়ে গেলেন।

       দূর কোনো এক দেশের স্যানাটোরিয়ামের আঠারো নম্বর ঘরে ঈশান বন্দী কারণ প্রায়ই সে ভয়ংকর হিংস্র হয়ে ওঠে এবং নির্দোষ কোনো অস্ত্র দিয়েও মানুষ খুন করার চেষ্টা করে ঈশানের বাবা জানেন না, যে শেতাঙ্গদের দেশে তিনি ওর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের দেখলে আরও ক্রুদ্ধ হয়ে পড়ে।, জানলে হয়তো নতুন করে ভাবতে হতো তাকে শতবছরের বেশি সময় আগের এস্কিমিনিজিন এখন তার পুরোটাই দখল করে নিয়েছে মনোজগতে সে আরেকজন, যাকে ত্রিমাত্রিক চেহারা দেখে চেনা যাবে না সে কথা বলে না, কেবল গোঙায় অন্ত্যঝড় তীব্র হয়ে এলে পাশবিক স্বর ভেসে আসে, ‘চলে যা আমার জন্মভিটা ছাড় বাঙালী সত্ত্বা হারিয়ে গেছে তার এখন সে একজন অ্যাপাচি যোদ্ধা, যে জানে, যাদের স্পষ্টতই বলে দেয়া হয়েছে, চিরিহুয়া অঞ্চলটি এখন তাদের নয় মিমব্রেস পর্বতশ্রেণী অ্যাপাচি গিরিপথ সান পেড্রো নদী আর গ্যালিউরো পর্বতমালার মধ্যাঞ্চল আরাভাইপা খাঁড়ি নিজ দেশে তার দলনেতা, দল এবং সে আজ উদ্বাস্তু ঈশানের হিংস্র গোঙানি অন্যান্য ওয়ার্ডে প্রতিধ্বনিত হয় কোনো উন্নতির খবর নেই যেনো চূড়ান্ত রায় প্রস্তুত, এখন পড়ে শোনানোর অপেক্ষা ঈশান নামের এক সুদর্শন যুবক আজ চামড়ায় জড়ানো কঙ্কাল

        আক্রান্ত হয়েছে অ্যাপাচিদের আরেকটি নিবাস তোবড়ানো লাশের স্তুপ পড়ে আছে বালিতে বন্দিদের পাঠানো হয়েছে সরকারী হোয়াইট মাউন্টেন ক্যাম্পে পলাতক অ্যাপাচিরা সংগঠিত হচ্ছে সান কার্লোস, টন্টো অববাহিকা, ক্যাম্প গ্রান্টে. যতবারই ফসল বোনার মৌসুম আসে, ততবারই নতুন অভ্যুত্থান শুরু হয় এই অনাহার, পালিয়ে বেড়ানো আর নয়। যদি মরতে হয়, নিজের মাটিতেই মরবো; সিদ্ধান্তে আসে এস্কিমিনজিন সাদাদের আগ্রাসন আরও বাড়তে থাকলো, ধরা পড়ে ধনু পা আরাভাইপার হাতে, গলায়, লোহার শেকল পরিয়ে ওকে ঠেলে দেয়া হয় অন্ধকার তলকুঠুরিতে এটাকে বেঁচে থাকা বলে? মরুর বাঁজ কে কেউ কি খাঁচায় পুরতে পারে? ধনুকের মত গঠন ছিলো বলে তার নাম ছিলো ধনু পা এস্কিমিনজিন ভেঙ্গে পড়তে থাকে তার সুঠাম শরীর কত চন্দ্রমাস আগে তারা মিমব্রেসের নিচে বসেছিলো? ছিলো লাল মদ, মোষের রোস্ট, কুয়াশা দেবতাদের আশির্বাদ, যুগ যুগ ধরে চলা বীরদের গীতোপখ্যান এস্কিমিনজিনের রক্তগতি স্লথ হয়ে আসে; নিঃশ্বাস এদিকে আঠারো নম্বর কামরায় ডাক্তার নার্সদের ব্যাস্ততা চলছে ঈশান কে ইলেকট্রিক শক দেয়ার প্রস্তুতি চলছে হঠাৎ তার হৃদয়, বিট দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে